রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ইফতার করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ ইফতারে একত্রিত হয়েছিলেন মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টিসহ বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। খালেদা জিয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইফতারে অংশ নিয়েছেন বিকল্পধারা, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জেএসডি ও কল্যাণ পার্টির সভাপতিসহ সমমনা দলের শীর্ষ নেতারা।
মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরও অংশ নিয়েছেন ইফতারে। এ ইফতারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ৯ বছর পর এক মঞ্চে পাশাপাশি বসলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ইফতারের আগে ও পরে কুশল বিনিময় ছাড়াও টুকটাক আলাপ করেন এ দুই নেতা। এ ছাড়া চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা ১২টি দলের নেতারাও ইফতারে অংশ নিয়েছেন।
ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রিত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের পাশে নিয়েই মঞ্চে বসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার ডান পাশে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও চারদলীয় জোটের নেতারা। বামদিকে ছিলেন বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি, কাজী জাফরসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা। এর আগে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ইফতার পার্টিতে এসে উপস্থিত হন।
এর আগে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক।
রাজনীতিবিদরা যা বলেছেন
ইফতার শেষে বিকল্পধারা সভাপতি বি. চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ইফতার একটি সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। একজন মুসলমান হিসেবে আমি এ ইফতারে অংশগ্রহণ করেছি। এর বাইরে আর কিছু না।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাকে দাওয়াত করেছেন। তার দাওয়াত রক্ষা করার জন্য আমরা এসেছি। তার সঙ্গে কথা বলে আমি প্রীত, মুগ্ধ। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো, এরপর আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত জানাবো।
মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ বলেন, এটা একটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। আমি আমাদের দলের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এসেছি। রাজনৈতিক জোটের প্রশ্নে তিনি বলেন, দলীয় ফোরামে এ ব্যাপারে আলোচনার পরে আমাদের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন।
জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ৭ই আগস্টের প্রতিবাদে আমাদের প্রতিবাদ সভা রয়েছে। ঈদের পরে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবো। এ আন্দোলন যুগপৎ বা জোটবদ্ধ- যে কোন রূপ নিতে পারে। সেটা সময়ই বলবে।
খালেদা জিয়ার ইফতারে অংশ নেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মঞ্জুর আলম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটি থেকে নির্বাহী কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত