দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। মনমোহন সিংয়ের সফরে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি হলে তা না মানার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার সংসদ ভবনের পার্লামেন্টস মেম্বার ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার পার্টিতে খালেদা বলেন, “চুরি-ডাকাতি-খুন বেড়েই চলেছে। দেশে এখন কোনো জনগণের সরকার আছে বলে মনে হয় না। এটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাই দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে ঈদের পরই কর্মসূচি দেওয়া হবে।” “আমরা সরকারকে বলে দিতে চাই, যে চুক্তিই করা হোক না কেন- তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। দেশের স্বার্থে চুক্তি হলে তা আমরা সমর্থন করবো। তবে দেশের স্বার্থ জলাজঞ্জি দিয়ে কোনো চুক্তি হলে জনগণকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।”
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা দেশের বর্তমান অবস্থাকে ‘দুঃসময়’ অভিহিত করে বলেন, “মানুষ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা কোনো কিছুই ঠিক নেই। এরকম অবস্থায় জনগণ তাকিয়ে আছে বিএনপির দিকে। “আমি বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে আলাপ করেছি। দেশের দুঃসময় থেকে উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুর্নীতিবাজ, জুলুমবাজ ও অত্যাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে”, নেতা-কর্মীদের প্রতি বলেন তিনি। গত আড়াই বছরে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি দাবি করে বিরোধী নেতা বলেন, “মহাসড়কগুলোর অবস্থা কী আপনারাই দেখছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। সারাদেশে কোনো উন্নয়ন কাজ নেই।”
মহানগর বিএনপির এ ইফতার পার্টিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেবিলে ছিলেন এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ, মহাসচিব জাহানারা বেগম, কল্যাণ পাটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন- খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আর এ গনি, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাদেক হোসেন খোকা, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সালাম, আবদুল কাইয়ুম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নূরে আরা সাফা, হাবিব উন নবী সোহেল প্রমুখ। নাজমুল হুদা, এম এ মান্নান, এ জেড এম জাহিদ হোসেনও ছিলেন ইফতার পার্টিতে।