সোমবার বিকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়  শেরে বাংলা সড়কে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদার ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান তেনজিনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।  

আহতরা হলেন, সুমন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সোহাগ, শরণখোলা ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুল ইসলাম, শাওন হোসেন, ধানসাগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন, কর্মী হাসান এবং শরণখোলা থানার পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম ও আবুল কালাম।

জিয়াউল হাসান তেনজিন বলেন, বিকাল ৩টার দিকে তার সমর্থক হাসানকে শেরে বাংলা সড়ক থেকে ধরে পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায় সুমন তালুকদারের সমর্থকরা। সেখানে হাসানকে মারধর করার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা ‘পুলিশের সহযোগিতায়’ হাসানকে উদ্ধার করে । এর কিছুক্ষণ পর সুমনের নেতৃত্বে একদল যুবক শেরে বাংলা সড়কে এসে পুলিশ ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

তেনজিনের অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন তালুকদার বলেন, জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শেষে তিনি ও তার সমর্থকরা শেরে বাংলা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তেনজিনের নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ অন্তত ছয়জন আহত হন।

শরণখোলা থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন  জানান, শেরে বাংলা সড়কে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের ইটের আঘাতে দুই কনস্টেবল আহত হন।