সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মতে বিশ্বের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ভিটামিন-ডি স্বল্পতায় ভুগছেন। বিশেষত: ইউরোপের দেশগুলোতে যেখানে সূর্যালোক কম সেখানেই এই ঘাটতি তুলনামূলক বেশি যা ‘রিকেটস’ (হাড বাঁকা হয়ে যাওয়া) নামে বহুল পরিচিত।

তবে সাম্প্রতিক তথ্য মতে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা সম্পর্কে এক ভয়াবহ চিত্র পাওয়া  গেছে। এই স্বল্পতা কেবল রিকেটস্ নয় বরং ক্যান্সার, কিডনির জটিলতা, হূিপন্ডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাঁড় ক্ষয়ে যাওয়া, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অকারণে ক্লান্তি, বিষন্নতা প্রভৃতি রোগের সাথেও জড়িত।

সাধারণত: সূর্যের আলো এবং খাদ্যের মধ্যে ডিম, কলিজা ইত্যাদি ভিটামিন ডি এর প্রধান উত্স বলে বিবেচিত। অথচ বর্তমান প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার ধরণ ও মান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি প্রাপ্তি থেকে আমরা অনেকটাকই বঞ্চিত হচ্ছি। বিশেষ করে শিশুদের ভিটামিন ডি স্বল্পতার কারণে হাডবাঁকা সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বড়দেরও ভিটামিন ডি এর অভাবে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতদিন দেশে রক্তের ভিটামিন ডি-এর অভাব সনাক্ত করার কোন ব্যবস্থা ছিলনা। সম্প্রতি নগরীর স্কয়ার হাসপাতালে রক্তে ভিটামিন  ডি এর পরিমাণ নির্ণয়ে ভিটামিন ডি টেস্টিং চালু হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি আরো গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট রোগ, এজমার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই শিশুদের অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত। শুধু শিশুদের নয় বড়দেরও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার শরীর গঠনে সহায়ক হতে পারে।