চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলাটি দীর্ঘ ৮ বছর পর আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৭ অক্টোবর একই আদালত এ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিনও ধার্য করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষ, বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে অগি্নসংযোগ করে খুন ও লুটতরাজের অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৬, ৩৯৬ ও ৩৪ ধারায় প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত আবদুল করিম প্রকাশ কালা করিম, জাবেদ হোসেন, আহম্মদ মিয়া প্রকাশ তোতাইয়া, মাহবুবুর রহমান প্রকাশ মাহবুব আলী, মো. হাসান প্রকাশ আর্মি হাসান, সরওয়ার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, আবু তৈয়ব, আকবর প্রকাশ আকবর আলী, শাহজাহান প্রকাশ দুলা মিয়া, আমিনুল হক, আহম্মদ হোসেন, মতলব, শফিউল আজম, জসিম, নজরুল ইসলাম, আমিনুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ আমিন চেয়ারম্যান, আমিনুল হক প্রকাশ আমিনিক্যা, আনু মিয়া, সেলিম, বক্কর, রুবেল, আবু, অজি আহম্মদ, আজিজ, আজগর ওরফে রুবেল, জসিম, এনাম, লেদু, কামরুল ইসলাম, আমির হোসেন, ইউনূছ, আবুল কালাম, নূরন্নবী প্রকাশ কালাইয়া, মেম্বার রশিদ আহম্মদ, আবদুল নবী এবং চেয়ারম্যান সবুর আহম্মদ নামে এসব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৭ নম্বর আসামি আমিনুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালীর বিএনপিদলীয় সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর চাচাত ভাই এবং স্থানীয় কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতিও।
গতকাল চার্জ গঠনের ওপর শুনানির শুরুতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার অভিযোগপত্র থেকে আমিনুর রহমান চৌধুরী ও চেয়ারম্যান সবুর আহম্মদের নাম বা দেয়ার আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম ও বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট স্বভু প্রসাদ বিশ্বাসসহ আইনজীবীরা এর তুমুল বিরোধিতা করেন পাশাপাশি উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত তা নাকচ করে দেন।
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রথম থেকেই বাদীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে তৎকালীন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর চাচাত ভাই আমিনুর রহমানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।