বিসিপি কাপের প্রথম ম্যাচে একাডেমি দলের করা ৭৫ রানের জবাবে ওইদিন জয় পেতে জাতীয় দল খুব দ্রুত ৪টি উইকেট হারিয়েছিলো। তাই সেদিন ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের হেড কোচ দলের বোলিং পারফরম্যান্সে খুশি হলেও ব্যাটিং নিয়ে দারুণ সমালোচনা করেছিলেন। কাজেই বিসিবি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দারুণভাবে ঘুর দাঁড়ালো জাতীয় দল। এমনকি দলের টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই ৪টি হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে নিয়ে গেলেন পাহাড় সমান উচ্চতায় ৩১১/৯। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের জাতীয় দলের কাছে ৩৬ রানে পরাজিত হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ এ দল।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকেই এসেছে ৪টি ফিফটি! জাতীয় দলের টপঅর্ডারের এমন সাফল্য তুলন করতে হলে রীতিমতো গবেষণা করতে হবে। অনেকদিন পর ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা আশরাফুল ছিলেন সফল। ম্যাচ শেষে তাই তো সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের দিকেই আগ্রহটা ছিলো বেশি। গতকাল মিরপুরে টস জিতে জাতীয় দলকে ব্যাট করতে পাঠায় এ দল। ওপেনার তামিম ইকবাল আর শাহরিয়ার নাফীসের ওপেনিং জুটি থেকেই এসেছে ১১৮ রান। গতকালের ম্যাচে জাতীয় দল এবং এ দলের অনেক কিছুই নতুন করে হিসাব করার জন্য ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো। ওপেনার ইমরুল কায়েসের সেরা একাদশে ফেরার পথ অনেকটাই বন্ধ করে দিলেন নাফীস। তামিম ৬৫ রানে আর নাফীস ব্যক্তিগত ৫০ রানে সাঁজঘরে ফিরে গেলেন। পরপর দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠানোর কাজটা করলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তামিম আর নাফীসের পর আশরাফুল আর মুশফিক সঙ্গী হলেন। এ জুটিও দলকে ৪২তম ওভার পর্যন্ত টেনে নিলেন। দলীয় ২৫৫ রানে আশরাফুল আউট হলেন ৭২ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ৮৩ রানে। টপঅর্ডারের তিনজনই ফিফটি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকই কেনো বাদ যাবেন। ৬১ বলে ৪টি চার ১টি ছয় দিয়ে সাঁজানো ৬৩ রানে মুশফিকের ইনিংস শেষ হয়। এরপর নাসির হোসেনের ১৪ ছাড়া আর কেউ কিছুই করতে পারেনি। ৭৫ রান দিয়ে রিয়াদ শিকার করেন ৪ উইকেট। ইলিয়াস সানী ৩৩ রানে ৩টি ও শাহদাত ৪৮ রানে ২টি উইকেট।
৩১২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট হারায় এ দল। কিন্তু ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী অটল রইলেন। বৃষ্টির কারণে টানা দেড় ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ থাকে। দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া ম্যাচে এ দলের টার্গেট দেয়া হয় ৩৯ ওভারে ২৭১ রানের। এতো বড় কঠিন টার্গেট এ দলের পক্ষে স্পর্শ করাও সম্ভব ছিলো না। জুনায়েদের সঙ্গী নাইম ইসলাম টিকে রইলেন। কিন্তু জুনায়েদ ৪৫ রানে বিগ শট খেলতে গিয়ে রুবেলের বলে অলকের হাতে ধরা পড়লেন। এছাড়া মিডল অর্ডারে অধিনায়ক মাহমুদুল্লার ৩০ রানই ছিলো বলার মতো। শুধু এ দলই নয় জাতীয় দলকেও পেছনে ফেলে দিলেন নাইম। দল হেরে গেলেও নিজের নামের পাশে ১০১ রানে অপরাজিত ইনিংসটা বসিয়ে নিলেন নাইম ইসলাম। নির্ধারিত ৩৯ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে এ দলের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। আজ শুক্রবার একই মাঠে একাডেমি দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ এ দল।