এতোদিন অস্বীকার করে এসেছেন। পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরও মোহাম্মদ আমির দাবি করেছেন, লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তিনি জড়িত নন। তবে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে পাকিস্তানের এ ফাস্ট বোলার দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে গতকাল শনিবার খবর বেরিয়েছে।

লন্ডনের ক্রাউন কোর্টে আমিরসহ সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম চলছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, শুনানির সময় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি লিখিতভাবে কোর্টে উপস্থাপন করেন আমির। তবে তিনি দাবি করেন, লর্ডস টেস্টে তিনি ইচ্ছে করে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়াননি। তাকে নো বল করতে বাধ্য করা হয়েছিলো। বিশ্বস্তসূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, অর্থের বিনিময়ে নো বল করেছিলেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আমির। তবে তাকে নো বল করতে পাকিস্তানের তত্কালীন অধিনায়ক সালমান বাট বাধ্য করেছিলেন কি-না, তা স্পষ্ট নয়।
গত বছর অনুষ্ঠিত লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ১৯ বছর বয়সী আমিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্বক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। একই কারণে পাকিস্তানের সালমান বাটকে ১০ ও মোহাম্মদ আসিফকে সাত বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া না হলেও অল্প বয়স বিবেচনায় আমিরের ক্ষেত্রে একটু নমনীয় ছিলো আইসিসি। খবর বেরিয়েছিলো, দোষ স্বীকার করে সত্যিকারের ঘটনা বললে শাস্তি কমানো হতে পারে আমিরের। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন এ ফাস্ট বোলার।