জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমসহ ১৮৩ জন নেতাকর্মীর প্রত্যেকের ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।মহানগর হাকিম সুনন্দা বাগচী গতকাল মঙ্গলবার চার মামলায় আসামিদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 পল্টন থানার দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে রমনা থানার পৃথক দুই মামলায় আসামিদের এক মামলায় ১০ দিন এবং অপর মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি গ্রহণ না করেই এক মামলায় ৬ দিনের এবং অপর মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিদের আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের জামিনের দরখাস্তগুলো সব নামঞ্জুর করে ৪ মামলায় মোট ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চার মামলায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সম্পাদক তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা মহানগর আমির রফিকুল ইসলামসহ ২৯৮ জনকে আসামি করা হয়।
জামায়াতের ১৮৩ নেতাকর্মীকে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারের পর প্রত্যেকের ৩৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।

 গত সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রাজ্জাকসহ ১৬৮ জনকে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এ নিয়ে রমনা ও পল্টন থানায় নয়টি মামলা হয়েছে। এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিন হাজার লোককে আসামি করা হয়। পুলিশের চার ও গাড়ি মালিকদের ৫ মামলায় প্রায় ৬ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

 রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম বলেছেন, গাড়িতে অগি্নসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকরা বাদী হয়ে রমনা থানায় পাঁচটি মামলা করেছেন। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয় ১৩০ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১২ জনকে।
অপরদিকে জামায়াতপন্থী ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক ও মওদুদীবিষয়ক একাডেমির পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী থেকে তাদের আটক করেছে র‌্যাব। পরে তাদের রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, গত সোমবার পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবির কর্মীদের হামলার পেছনে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। ওইসময় তিনি বলেন, তাদের পেছনে গডফাদার কারা আছেন তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।