সারাদেশে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা  হরতাল পালিত হয়েছে। নগর জীবনে হরতালের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। রাজপথ ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও হরতাল বিরোধীদের দখলে। । অন্য দিনের তুলনায় কম হলেও চলেছে বাস-রিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন। কয়েকটি দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে গেছে। অফিস-আদালতের কাজ-কর্মও স্বাভাবিক ছিল। সকালে মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কেটে যায়। রাজধানীতে স্বল্প সময়ের জন্য দু’একটি খন্ড মিছিল ছাড়া হরতালকারীদের তৎপরতা ছিল না। রাজপথে পিকেটার চোখে পড়লেই ধাওয়া করছিল পুলিশ। আটক করে তুলে দিচ্ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে। হরতালের ১১ ঘন্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে ১ বছর ও ২ জনকে ২ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে বিএনপির দাবি হরতালে রাজধানীতে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। গুলশান থেকে র‌্যাব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকনকে গ্রেফতার করেছে। জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ হরতাল ডাকে ৪দলীয় জোট।
হরতালে সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে বিআরটিসির পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস চলতে দেখা গেছে। কাউন্টারভিত্তিক বাসগুলো হরতালের প্রথম প্রহরে সড়কে না থাকলেও পরিস্থিতি অাঁচ করতে পেরে দুপুরে চলাচল শুরু করে।

 গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছাড়েনি।
 সংসদ ভবনের সামনে বিএনপির সংসদ সদস্যরা মিছিলের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। পুরান ঢাকার কয়েকটি স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ তা ভন্ডুল করে দেয়। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীরা মিছিলের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের ধাওয়ায় পালিয়ে যান তারা।