মাদরাসা শিক্ষার আড়ালে উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির অপতৎপরতা আর অর্থ লোপাটের দিন শেষ হয়ে আসছে। এ শিক্ষার মূল ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে পাল্টে যাচ্ছে সরকারি নিয়ন্ত্রণহীন ও নিম্নমানের মাদরাসা শিক্ষার ধরন। আধুনিকায়ন ও বিপুল অর্থ সহায়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন হাজার হাজার কওমী মাদরাসাকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্ব স্ব এলাকার সকল কওমী মাদরাসার সংখ্যা, শিক্ষাক্রম, অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছেন ৬৪ জেলা প্রশাসক। কেবল কওমী নয়, শিক্ষানীতি ও বিশিষ্টজনের বহু বছরের দাবি অনুসারে আধুনিক এবং যুগোপযোগী হচ্ছে দাখিল, আলিম, ফাজিলসহ মাদরাসা শিক্ষার সকল স্তরের শিক্ষাক্রম। মূলবিষয় ছাড়াও শিক্ষার্থীরা পড়বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী। আগামী জানুয়ারি থেকেই সাধারণ শিক্ষার বিএডর কোর্সের ন্যায় মাদরাসা শিক্ষায় চালু হচ্ছে বিএমএড বা ব্যাচেলর অব মাদরাসা এডুকেশন কোর্স।
এর কিছুদিন আগে মাদরাসার শিক্ষক ও আলেম ওলামাদের সাথে আয়োজিত সভায় মাদরাসা শিক্ষার জন্য বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেছেন, আল্লাহর আইনের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষমতায় এসেও যারা মাদরাসার উন্নয়ন করেনি তারাই এখন ধর্মকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। সরকার দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামাদের মতামত নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন করবে। মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা ঠিক রেখে নৈতিক ও কর্মমুখি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। মাদরাসা ছাত্রদের জনসম্পদে পরিণত করতে যা যা প্রয়োজন তার সব কিছুই করবে সরকার। লক্ষ্য বাস্তবায়নে চুড়ান্ত করা হয়েছে ৪৮২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। আসছে মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প। চলতি বছরেই ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার মাদরাসার ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের সকল কাজে সারাদেশে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষক ও বিশিষ্ট আলেম ওলামারা