তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (সিসিসি) এক হাজার ৩৮০টি উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য দিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক, চট্টগ্রাম-২ অঞ্চল এর কার্যালয় থেকে গত ৫ জুলাই ডাকযোগে পাঠানো এক চিঠিতে সিটি করপোরেশনের কাছে এসব প্রকল্পের তথ্য চাওয়া হয়। সোমবার এই চিঠি করপোরেশনে এসে পৌঁছায়।
দুদক, চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক আবদুল আজিজ ভূইয়া এ চিঠি পাঠান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১০-’১১ এবং ২০১১-’১২ অর্থবছরে সিসিসি’র এসব উন্নয়ন প্রকল্পে কেনো দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কোন খাতে কত বরাদ্দ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর তালিকা জানতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এসব প্রকল্পের ব্যয়ের তথ্যও জানাতে চিঠিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আবদুল আজিজ জানান, ফাইলগুলো হাতে আসার পর তা অনুসন্ধান করা হবে। এতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদক আইনি ব্যবস্থা নেবে।
সিসিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত দুই অর্থবছরে ১৭৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
সোমবার সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম এ চিঠি পেলেও এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
আরও জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে চারটি বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পের ফাইল তলব করা হয়। এসব ফাইলের মধ্যে রয়েছে এক নম্বর বিভাগের ২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬৩টি প্রকল্প, দুই নম্বর বিভাগে ৪৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩৫টি প্রকল্প ও ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬৬টি প্রকল্প, তিন নম্বর বিভাগে ৫০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৪৭ টি প্রকল্প এবং চার নম্বর বিভাগে ৩৬ কোটি ৮৪লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬৯টি প্রকল্পের ফাইল।
সিসিসি’র কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দুটি ম্যাচ এবং একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য ২০১০-১১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ করে।
এসময় নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মনজুর আলম। সে সময় সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের পাশাপাশি আরও নতুন ৫০০ ব্যক্তি ঠিকাদার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।