ঢাকাস্থ থাইল্যান্ড দূতাবাসে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনের থাই মেলা ‘ডেসটিনেশন থাইল্যান্ড ফেয়ার ইন বাংলাদেশ-২০১২’। মেলা চলবে আগামী শনিবার রাত পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারার থাই দূতাবাসে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে রয়েল থাই দূতাবাস, থাই ট্যুরিজম অথরিটি, থাই এয়ার ওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক কোম্পানি, দি ব্যাংকক এয়ার ওয়েজ ও স্থানীয় আমদানি-রফতানিকারকরা।
সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ মেলায় স্টল রয়েছে মোট ৫৪টি। শপিং, এডুকেশন, হেলথ কেয়ার, ট্রাভেল, ফুড অ্যান্ড রিক্রিয়েশন এ ৬টি বিশেষ জোনে ভাগ করা হয়েছে মেলাকে।
মেলায় আগতদের কেনাকাটার ওপর রয়েছে বিশেষ কূপন। এতে রয়েছে ঢাকা-ব্যাংকক রিটার্ন টিকেটসহ নানা গন্তব্যের বিমান টিকেট। এছাড়াও বিশেষ মূল্যে পাওয়া যাবে থাই পণ্য।
সেই সঙ্গে উপভোগ করা যাবে থাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, থাই বিশেষ খাবার, বিনামূল্যে ভিসা প্রসেসিংসহ নানা সুবিধা।
মেলা প্রসঙ্গে ঢাকাস্থ থাই রাষ্ট্রদূত এইচ ই এমএস মাদুরাপাচানা বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্ধুদের থাই পণ্য ও সেবা প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এ মেলার আয়োজন।’
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘১৯৭২ সাল থেকে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের পরিক্ষীত বন্ধু। এ দীর্ঘ সময়ে আমাদের সাংস্কৃতিক যোগাযোগও শক্তিশালী হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগ বেড়েছে। যা বর্তমানে ১.২ বিলিয়ন ডলার। থাই বিনিয়োগকারীরা এদেশের শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তারা বিমান বন্দর-যাত্রাবাড়ী এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করছে।’’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘থাই সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা আছে। যার বিনিময়ে যে কোনো বিপদের সময় বাংলাদেশ ১০ লাখ টন চাল পাবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আগেও প্রয়োজনের সময় ও দুর্যোগে তারা আমাদের চাল দিয়ে সাহায্য করেছে। যদিও এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’’