বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে সরকারের প্রত্যাশা মতো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশী হবে না, যদিও এর চেয়ে বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জনের সামর্থ দেশটির রয়েছে।
সংস্থাটি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের বেশী হবে না, যদিও এর চেয়ে বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জনের সামর্থ দেশটির রয়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারীলক্ষ্যমাত্রা সাত শতাংশেরবেশী হলেও প্রত্যাশার চেয়ে কম রপ্তানী আয় ও বিনিয়োগ কমে যাওয়াকে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মূল বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশের অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতির ওপর বিশ্বব্যাংকের এই রিপোর্টে অর্থনীতির গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছে,চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের মতো হবে।
গত অর্থ বছরে এই হার ছিল ছয় দশমিক তিন শতাংশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়েবিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসের সঙ্গে এর আগে দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবির পূর্বাভাসের অনেকটাই মিল রয়েছে।
সরকারের প্রত্যাশা ছিল চলতি বছরে সাত দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের। কিন্তু ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন, এই লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কারণ রপ্তানী প্রত্যাশার চেয়ে কম হচ্ছে।
জাহিদ হোসেন বলছেন, রপ্তানীর প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা, কারণ ইউরোজোনের দেশগুলো বাংলাদেশের রপ্তানীর অন্যতম বড় বাজার। অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন দেশের ভেতরেই বিনিয়োগ কমে যাওয়াকে।
মিঃ হোসেন বলেন, বিনিয়োগেরসূচকগুলো ভালো নয়, বিশেষ করে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের হার চলতি বছরে কমেছে। এছাড়া, বিনিয়োগের অন্য সূচকগুলোতেও ঋণাত্বক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানান জাহিদ হোসেন।
ম্যানুফ্যাকচারিং বা শিল্পখাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে মূলত অবকাঠামোর দূর্বলতাকে। জাহিদ হোসেন বলেন, এসব কারণে সাধারণত ব্যবসার খরচ বাড়ে, ফলে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়।
তবে এরপরও বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করা ৩৫টি দেশের মধ্যে থাকবে বলে জানান মিঃ হোসেন।