শেয়ার বাজারে কারসাজি ও অনিয়ম প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রশাসনিক ও পরিচালন সংক্রান্ত বিধিবিধানে সংস্কার আনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করে দিলে জেল-জরিমানারও বিধান করা হচ্ছে।
এর মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সংশোধন আইন-২০১২ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ সংশোধন আইন-২০১২ মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদকে প্রশাসনিক কাঠামো থেকে আলাদা করার জন্য ‘দি এক্সচেঞ্জেস ডি মিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট-২০১২’ এ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা জানান, এসব প্রস্তাব সংসদে পাস হলে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন নাম হবে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাংলাদেশ।
১৯৯৩ সালের সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন সংশোধন হলে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের মেয়াদ তিন বছর থেকে বেড়ে হবে চার বছর। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত (ট্রাইব্যুনাল) গঠন করা যাবে
এবং কমিশন প্রয়োজনে যে কোনো ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চাইতে পারবে এবং অন্য কোনো দেশের সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করতে পারবে। আইন সংশোধন হলে কমিশন প্রয়োজনে উপদেষ্টা বা পরামর্শক এবং অনুমোদিত জনবল নিয়োগ দিতে পারবে।
কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসইসি সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বরত ও সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে বিধিবিধানও আরোপ করা হচ্ছে সংশোধিত আইনে।
তারা কমিশনের গোপন তথ্য প্রকাশ করে দিলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদ- ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
এছাড়া ডি মিউচুয়ালাইজেশন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে মনোনীত হতে হবে।