বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদার ক্রীড়া আসর অলিম্পিকে এবারো সরাসরি অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ‘ওয়াইল্ড কার্ড’-এর দাক্ষিণ্য নিয়ে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিতে ২২ জুলাই ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

২৭ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিকে বাংলাদেশ পাঁচটি খেলার জন্য ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছে। সেগুলো হলো অ্যাথলেটিক্স, শূটিং, সাঁতাঁর, জিমন্যাস্টিক্স ও আরচারি। চার বছর আগের বেইজিং অলিম্পিকে বাংলাদেশ তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলো। এবার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরচারি ও জিমন্যাস্টিক্স।

পাঁচটি খেলায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়ও পাঁচ জন – শ্যূটিংয়ে শারমিন আক্তার রত্না, অ্যাথলেটিক্সে মোহন খান, সাঁতারে মাহফিজুর রহমান সাগর, আরচারিতে ইমদাদুল হক মিলন ও জিমন্যাস্টিক্সে সাইক সিজার।

অলিম্পিকে ভালো করার লক্ষ্যে শারমিন আক্তার রত্না লন্ডনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিমন্যাস্ট সাইক সিজার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রেই। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) তার প্রশিক্ষণের ব্যয়ভার বহন করছে। আর ইমদাদুল হক মিলন ব্যাংককে এক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে কয়েক দিন আগে দেশে ফিরেছেন।

তবে মোহন খান ও মাহফিজুর রহমান সাগর দেশেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এই দুজনের কাছে তেমন প্রত্যাশা নেই বিওএ’র। তাই তাদের বিদেশেও পাঠানো হয়নি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যাশার ইভেন্ট জিমন্যাস্টিক্স। সিজারের কাছ থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন বিওএ’র কর্মকর্তারা। বিওএ মহাপরিচালক কর্নেল (অব.) এম ওয়ালীউল্লাহ জানিয়েছেন, “জিমন্যাস্টিক্স ও শূটিংয়ে ভালো করার আশা করছি আমরা। বিশেষ করে জিমন্যাটিক্সে সিজারের ভালো করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”

ট্রেনিং অ্যান্ড কোচিং কমিটির সভাপতি এ কে সরকারের আশা, গতবারের চেয়ে এবার অনেক ভালো করবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “এখনই অলিম্পিকে পদক জয় আমাদের জন্য ভীষণ দুরূহ ব্যাপার। প্রথম ১০-১২ জনের মধ্যে থাকতে পারলেই তা হবে বিশাল অর্জন।”

১৯৮৪ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসলেও অলিম্পিক পদক বাংলাদেশের জন্য এখনো শুধুই সোনার হরিণ!