সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল যে থাকবেন এটি ছিল পূর্ব অনুমেয়। তবে সাকিব-তামিম ছাড়াও এসএলপিএলে খেলার জন্য বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা ৫৬ বিদেশি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে। তাতে রয়েছে মুশফিকুর রহীম, নাসির হোসেন এবং ইলিয়াস সানির নামও। এসএলপিএলের প্রথম আসরে খেলবেন ৫ বাংলাদেশি ক্রিকেটার।

তালিকায় সর্বোচ্চ ১৮ জন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার। পাকিস্তান থেকে রয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ ক্রিকেটার। বাংলাদেশের ৫ ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন তিনটি দলে। উথুরায় খেলবেন সাকিব আল হাসান। নাগেনহিরায় রয়েছেন সর্বোচ্চ তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। এরা হলেন_ মুশফিকুর রহীম, ইলিয়াস সানি এবং নাসির হোসেন। ওয়াম্বায় খেলবেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মতো শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও অংশ নিচ্ছে না কোনো বিদেশি ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি তালিকায়।

তবে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ অবশ্য খেলছে ইংল্যান্ডের নাগরিত্ব নিয়ে। টুর্নামেন্টে বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের একচ্ছত্র দাপট। অস্ট্রেলিয়া থেকে খেলছেন সর্বোচ্চ ১৮ জন ক্রিকেটার। পাকিস্তান থেকে খেলবেন ১৩ ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ জন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন তালিকায়। বাংলাদেশ থেকে বিদেশি কোটায় খেলবেন ৫ ক্রিকেটার। প্রতিটি দল প্রত্যেক ম্যাচে বিদেশি কোটায় ৪ ক্রিকেটারকে খেলাতে পারবেন। এ বছর আগস্টে পর্দা উঠছে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের। তিন সপ্তাহব্যাপী চলবে এ টোয়েন্টি২০ লিগ। ফাইনাল হবে ৩১ আগস্ট। মোট ম্যাচ হবে ২৪টি। টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৭টি দল। কলম্বো এবং পাল্লেকেল্লেতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

আইপিএল ও বিপিএলের মতো নিলাম না করে সাত ফ্রাঞ্চাইজিকে অবশ্য নির্ভর করতে হয়েছে ভাগ্য পরীক্ষায়। রুদ্ধদ্বার সে লটারিতে ১১ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত দল পেয়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার। প্রথমবারের মতো বিদেশি কোনো লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি ইলিয়াস সানী। বলেছেন, ‘এমন একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এখন যদি দলে খেলার সুযোগ পাই তাহলে ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

সাকিবও মনে করছেন এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরো সমৃদ্ধ করবে। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য এ অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে। উপমহাদেশের হলেও শ্রীলঙ্কান উইকেট একটু ভিন্ন। অনেক দিন হল আমরা শ্রীলঙ্কায় কোনো টুর্নামেন্ট খেলিনি। তাই যারা খেলার সুযোগ পাবে তারা নিজের অভিজ্ঞতার কথা অন্যদের বলতে পারবে। আমার বিশ্বাস বিশ্বকাপে এটা খুবই কাজে লাগবে।’ সাকিবের সঙ্গে একমত সানীও। তবে একই সঙ্গে আফসোফ করলেন অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সংখ্যা যদি আরো বেশি হতো, নিঃসন্দেহে এ অভিজ্ঞতা আমাদের টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে সহায়ক হবে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘এসএলপিএলে আমরা পাঁচজন খেলার সুযোগ পেয়েছি, সংখ্যাটা আরো বেশি হলে দলের জন্য ভালো হতো।’ নিলাম না হওয়ায় বিভিন্ন দলের হয়ে যেসব ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছেন তাদের পারিশ্রমিক এখনো জানা যায়নি। তবে টুর্নামেন্ট কমিটি থেকে জানানো হয়েছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দেবে কমিটিই। নির্দিষ্ট সে টাকা মেটাবেন ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা।’