বাংলাদেশের করা ২২০ রান খুব সহজেই টপকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা৷ ক্যারিবীয় দলের ওপেনার ব্যাটসম্যান সিমন্স ৮০ রান করেন৷ তিনি দলীয় ১৮০ রানের মাথায় আউট হওয়ার সময় ম্যাচ ক্যারিবীয়দের হাতে৷ তার আগে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৭১ রানে৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েল্স মাত্র ৭৪ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেন৷ এছাড়া বোলিং এ একটি উইকেট নেন তিনি৷

বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান দুটি উইকেট নেন৷ বাংলাদেশ বোলারদের বোলিং কোন সমস্যাতেই ফেলেনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের৷ প্রথমদিকে তারা ধীরে সুস্থে খেলতে থাকে৷ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যাটও চওড়া হতে থাকে৷ টার্গেট কম থাকায় তারা দ্রুত রান তোলার চেয়ে উইকেট টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সতর্ক ছিল৷ শেষ পর্যন্ত আট উইকেট হাতে রেখেই তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে৷

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামলেও ক্যারিবীয় পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার৷ প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েসের বিদায়, এরপর একের পর এক ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন তামিম, আশরাফুল, সাকিব আর অলক কাপালি৷ মাত্র ৫৮ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় টাইগাররা৷ এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক৷ প্রথম দিকে ধীরে ব্যাট করলেও পরিস্থিতির কারণে সেটিই ছিল সবচেয়ে দরকারি৷ নাইম আর নাসিরের সঙ্গে দুটি মাঝারি জুটি গড়ে তুললে অন্তত মোটামুটি একটা স্কোরের আশা জাগে৷ কিন্তু ১৫০ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক আউট হয়ে গেলে আবারও শঙ্কা জেগে ওঠে৷ মুশফিক ১০৯ বলে ৬৯ রান করে আউট হন৷

এই অবস্থাতে হাল ধরেন টেইল এন্ডার নাসির হোসেইন৷ তার দুর্দান্ত ৫৪ বলে ৫০ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ২০০ রানের ঘর পার করে৷ তার সঙ্গে রাজ্জাকের ২৮ বলে ২৫ রানও উল্লেখযোগ্য৷ ৪৮ তম ওভারেই ২২০ রান করে অলআউট হয় টাইগার বাহিনী৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পেসার কেমার রোচ ৪৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পান৷ রামপাল এবং সামি পান দুটি করে উইকেট৷