নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে আবারও মেজাজ হারিয়ে ফেললেন সেরেনা উইলিয়ামস। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। হার মানতে হলো তাকে অস্ট্রেলিয়ার সামান্তা স্টোসুরের কাছে। সেই সাথে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লামের শিরোপা মাথায় পরলেন তিনি। নিজের ওপর বিরক্ত হতেই পারেন সেরেনা। কোর্টে কোনো কিছুই তার পক্ষে যাচ্ছিলো না। পক্ষান্তরে দুর্দান্ত খেলেন স্টোসুর। সেরেনাকে স্রেফ উড়িয়ে দেন ৬-২ ও ৬-৩ গেমে। এর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে চীনের না লি ও উইম্বলডন জিতে চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কভিতোভা প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন।
নিজের দর্শকদের সামনে ইউএস ওপেনে শুরুটা কিন্তু স্বপ্নের মতো হয়েছিলো উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ের। ফিরে পেয়েছিলেন আগের সেই ছন্দ। ফাইনালে উঠতে কঠিন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি মেয়েদের এককের সাবেক শীর্ষ খেলোয়াড়কে। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষায় আর পেরে উঠলেন না। গত রোববার রাতে সেরেনার স্ট্রোকগুলো বারবার লক্ষ্যচ্যুত হচ্ছিলো। সেই তুলনায় স্টোসুর বরং অনেক ভালো খেলছিলেন। ফলে সময়ের সাথে সাথে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন সেরেনা।
দ্বিতীয় সেটের শুরুতে একটি ব্রেক পয়েন্টের সময় সেরেনার শক্তিশালী ফোরহ্যান্ড ফিরিয়ে দেন স্টোসুর। এ সময় মেজাজ আর ধরে রাখতে পারেননি সেরেনা। কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দেন চেয়ার আম্পায়ারকে। শাস্তি স্বরূপ ওই পয়েন্টটি স্টোসুরকে দিয়ে দেন আম্পায়ার। বছর দুই আগে একই ঘটনা ঘটিয়ে জরিমানার গুনতে হয়েছিলো সেরেনাকে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ১৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সেরেনা হতাশার সাথে বলেন, আমি তখন কি বলেছি তা মনে করতে পারছি না।
আর আনন্দে কথাই বলতে পারছিলেন না স্টোসুর। তিনি বলেন, শিরোপা জেতার কথা আমি বিশ্বাসই করতে পারছি। একে তিনি একটি চমৎকার অনুভূতি বলে অভিহিত করেন।