জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ম্যাচে নিষিদ্ধ করায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে পেশাদার লীগের বর্তমান রানার্স আপ দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। প্রয়োজনে বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) বিরম্নদ্ধে মামলা করার কথা চিন্তা করছে ক্লাবটি। মুক্তিযোদ্ধার ফুটবল ম্যানেজার আবদুস সাত্তার বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে অপরাধ করেছে জাহিদ হাসান এমিলি ও মিঠুন চৌধুরি। এ শাসত্মি কেন মুক্তিযোদ্ধা ভোগ করবে। বাফুফের শাস্তির সিদ্ধান্তে মুক্তিযোদ্ধা ৰতিগ্রসত্ম হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের আশ্রয় নেব।’ তবে মুক্তিযোদ্ধার হুমকিকে আমলে নিচ্ছেন না বাফুফের জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়। তিনি বলেন, ‘এখন তো সব ফুটবলার মুক্ত। দলবদলের আগে তো কেউ বলতে পারবে না এ আমাদের খেলোয়াড়। তাই আমরা কোন ক্লাবের কোন ক্লাবের ফুটবলারকে শাসত্মি দেইনি। আমরা মুক্ত খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছি। কেউ যদি অভিযুক্তদের দলে টানতে চায় তাহলে শাস্তির কথাটা চিনত্মা করে দলে টানবে। এখানে ক্লাবের ৰতির বিষয়টা আসছে কেন?’ জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে খ্যাপ খেলতে যাওয়ার অপরাধে জাহিদ হাসান এমিলি ও মিঠুন চৌধুরিকে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনকে দুই ম্যাচে বহিষ্কার এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাফুফের সিদ্ধানত্মে সব চাইতে বেশি ৰতিগ্রসত্ম হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব। কেননা শাসত্মি পাওয়া ফুটবল মিঠুন চৌধুরি আগে থেকে দলে ছিলেন। অন্যদিকে শেখ জামাল থেকে এমিলিকে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। অপর খেলোয়াড় জাহিদ শেখ জামাল থেকে আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন।