সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ রয়েছেন বলেজানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত গাড়িচালক আজম খানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ রয়েছেন বলেজানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
রেলের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘নিখোঁজ’ গাড়িচালক আজমকে রোববার কমিশনে হাজির হতে নির্দেশদেয়া হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত আজম আসেননি। গত এপ্রিলে ঘটনার পর থেকে‘নিখোঁজ’ আজম সম্প্রতি আরটিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকাশ্য হন; তবে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, তা জানাননি।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “রেলওয়ের দুর্নীতির মামলায় সে (আজম) একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তার প্রতি খড়গহস্ত হওয়ার কোনো মানে হয় না।
“আমরা যথেষ্ট মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বিষয়টি বিবেচনা করছি। তার ভয়ের কোনো কারণ নেই। আইনানুগভাবে যতটুকু সম্ভব তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করব।” রেলের দুর্নীতি মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রাশেদুর রেজা বিএন এন টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রধান সাক্ষী হিসেবে গত মে মাসে আজমকে তলব করে চাঁদপুরের মতলব থানায় আজমের বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তিনি আসেননি।
এরপর গত বৃহস্পতিবার একই ঠিকানায় আবার চিঠি পাঠানোহয়। সেই চিঠিতে রোববার বেলা ১১টায় তাকে কমিশনে উপস্থিত হতে বলা হয়। তলবের আদেশে না এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আইন অনুযায়ী, কেউ দুদকের নির্দেশ অমান্য করলে তার তিন বছর কারাদণ্ডের বিধানরয়েছে। তবে আজমের ক্ষেত্রে মানবিক বিষয়টি আমাদের প্রাথমিক বিবেচনায় আসবে।”
গত ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেলে তা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় উঠে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গভীর রাতে আজম ওই গাড়ি পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের ফটকে ঢুকিয়ে দিলে টাকা থাকার বিষয়টি প্রকাশ্য হয়। ওই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন সুরঞ্জিত, পরেঅবশ্য তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
ওই রাতে গাড়িতে ওমর ফারুকের সঙ্গে পূর্ব রেলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও রেল নিরাপত্তা শাখার কমান্ডেন্ট এনামুল হকও ছিলেন, যাদের পরে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার।
আরটিভিতে সাক্ষাৎকারে আজম বলেন, ওই রাতে পাওয়া টাকা ছিল রেলের দুর্নীতিরএবং তা সুরঞ্জিতের বাড়িতেনেয়া হচ্ছিল। তবে সুরঞ্জিত দাবি করে আসছেন, কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই।