কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় রবিবার মালিকপক্ষের নির্দেশে আনসারের গুলিতে আকিজ বিড়ি কারখানার দুই শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল ১০টায় ওই কারখানা এলাকায় লাঠি মিছিল করেছেন কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও এ সময় হুমকি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
অপরদিকে, নিহত ওই দুই শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান।
তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ বিষয়ে দৌলতপুরে কারখানা মালিক-শ্রমিক ও নিহতদের স্বজনের সঙ্গে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক ও পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
এদিকে, বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কারখানা শ্রমিক শহিদুল ইসলাম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সঙ্গে যে বৈঠক করবেন তা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে হয় না।
এদিকে, আনসারের গুলিতে নিহত মিন্টুর মা বেদানা খাতুন বলেন, যারা আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।
উল্লেখ্য, রবিবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবস্থিত আকিজ বিড়ি কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিলে মালিকপক্ষের নির্দেশে আনসার সদস্যরা তাদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে রাকিবুল ইসলাম ও মিন্টু নামে দুই শ্রমিক নিহত এবং আরও ১০ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।