আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তপসিল ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ সেপ্টেম্বর, বাছাই ৫ সেপ্টেম্বর ও প্রত্যাহার ১৩ সেপ্টেম্বর। এ ব্যাপারে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

কাপাসিয়া নির্বাচন অফিসার মো. আলতাফ হোসেন জানান, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) থেকে আমরা মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছি। তবে আজকে কেউ মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার মিহির সারোয়ার মোর্শেদকে রিটার্নিং অফিসার ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের ভোটার তালিকা দিয়েই এ উপনির্বাচন করা হবে। এই আসনের ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ভোট কেন্দ্র ১০২টি ও কক্ষ ৪৭২টি রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৮৮৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯৫ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৪৮৯ জন।

এদিকে তপসিল ঘোষণা করায় উপনির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী সম্বাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় শুরু করেছেন লবিং গ্রুপিং।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালাতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদের ছোটভাই সাবেক মন্ত্রী আফছার উদ্দিন আহমদ খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম খান বেনু, সাবেক এমপি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খানসহ আরো কয়েকজন প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেন।

অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী তপসিল ঘোষণার পর থেকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

কাপাসিয়া কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড প্রিক্যাডেটের অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। কাপাসিয়ার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে হলে সৎ, নীতিবান, যোগ্য ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে জয়লাভ করা সহজ হবে।

কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগম বলেন, যিনি কাপাসিয়ার জনগণের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন করতে পারবেন তাকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত বলে মনে করি।

উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে এখন প্রায় ডজন খানেক প্রার্থী মাঠে রয়েছে। কে পাবেন নৌকার প্রতীক তা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও হাটবাজারে চলছে এমনই গুঞ্জন। তবে অপরদিকে শোনা যাচ্ছে দলীয় মনোনয়ন না পেলে কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে লোকমুখে বলাবলি হচ্ছে।