ট্রুথ কমিশনে হাজির হয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে অর্থ ফেরত দিয়েও মুক্তি মিলছে না সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত আত্মস্বীকৃত ৪৭৩ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্ত-কর্মচারীকে ওএসডি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর মন্ত্রীরা এ বিষয়ে এরইমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছেন। গতকাল বুধবার থেকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ওএসডি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়াধীন সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ও বিআরটিএ, আইনমন্ত্রণালয়াধীন সাবরেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়াধীন ওয়াসা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়াধীন তিতাস এবং পূর্ত মন্ত্রণালয়ের রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থার যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী ট্রুথ কমিশনে গিয়েছিলেন তাদের বিষয় দুদকে বিবেচনাধীন থাকায় তাদের ওএসডি এবং ওই বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের পেনশনসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ক্রমে স্ব স্ব দপ্তরে লিখিত নির্দেশনা পাঠাবে।
এ সিদ্ধান্তের পরপরই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন গতকাল এক নির্দেশে তার মন্ত্রণালয়ের আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা চেয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। সূত্র জানায়, ট্রুথ কমিশনে সবচেয়ে বেশি কর্মকর্তা গেছেন সওজ থেকে। তাদের মধ্যে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদের কর্মকর্তাও রয়েছেন।
একই সাথে গতকালই আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এক নির্দেশে যেসব সাবরেজিস্ট্রার এবং জেলা রেজিস্ট্রার ট্রুথ কমিশনে গিয়েছিলের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশের পর আইন, বিচার ও সংসদ সচিব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দিয়েছেন মহাপরিদর্শক ও নিবন্ধনকে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের বিবেচনাধীন থাকায় ওই বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের পেনশনসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি স্থগিত থাকবে।