প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ূ পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় আরও বেশী আর্থিক সহযোগিতার জন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ বিকেলে পার্থের স্টেট রিসেপশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের প্রতি বৈঠকের সমাপনী অধিবেশনে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কম দায়ী হওয়ার সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে ক্ষতিকর দেশগুলোর একটি। অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বর এবং কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগদানকারী অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানরাও এ অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা ও কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি সত্ত্বেও তাঁর সরকার জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর হোটেল স্যুটে সাক্ষাৎ করেন।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, তাঁর সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর সরকার দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সফলতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আড়াই বছরে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছেÑ খুব শিগগিরই বাংলাদেশ জ্বালানি সংকট থেকে মুক্তি পাবে। তিনি রূপকল্প-২০২১-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে পরিণত করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতা কামনা করেন। নতুন ভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে প্রবাসীরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দেশকে দারিদ্র্য ও নিরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বর্তমান সরকার সফল হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের প্রশংসা করেন।