দিল্লিতে ২৭ ও ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে যৌথ সমীক্ষা কমিটির প্রথম বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি যাবে। এর নেতৃত্ব দেবেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন গঙ্গা বোর্ডের কমিশনার ও যৌথ সমীক্ষা কমিটির সদস্য দেবেন্দ্র শর্মা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাশফি বিনতে শামস, পানিসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমানে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান এমএ কাশেম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (পানিবিজ্ঞান) মো. আনসার আলী, ওয়ারপোর পরিচালক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ মুনাজ আহমেদ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত্স্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. দেওয়ান আলী, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ সোহেল মাসুদ, সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) উপনির্বাহী পরিচালক মমিনুল হক সরকার, মৃত্তিকা ও কৃষি বিশেষজ্ঞ অনিল চন্দ্র আইচ এবং যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের কাছে যেসব তথ্য রয়েছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ জানতে চাইবে। এর আগে গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় কী পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়েছে তারও একটি হিসাব নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা কার্যপরিধি (টার্মস অব রেফারেন্স) নির্ধারণের পর যৌথ কমিটি সমীক্ষা শুরু করবে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, টিপাইমুখ জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের সম্ভব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে তারা। এ ছাড়া জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের সব দিক খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের আওতায় একটি উপ-কমিটি করতে সম্মত হয়েছিল নয়াদিল্লি ও ঢাকা।
পরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকেই ভারতের পক্ষ থেকে টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পে যৌথ সমীক্ষার জন্য প্রতিনিধি দল চূড়ান্ত করা হয় এবং তা বাংলাদেশকে জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্মতিতে ২৭ আগস্ট দিল্লিতে যৌথ সমীক্ষা কমিটির প্রথম বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়।