বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয় চূড়ান্ত করতে আগামীকাল বুধবার রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে হবে। এ চুক্তির অধীনে রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। এতে দু’হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আজ বাসসকে জানান, আমাদের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অনেকটা সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী ওসমান বলেন, তিনি এবং রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সে দেশের রাষ্ট্র পরিচালিত এটোমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক সার্গেই কিরিয়েনকো এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরবর্তীতে সরকার পর্যায়ে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
মস্কোর সাথে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় দুই বছর পর এই চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। আগামী ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কোটি ডলার ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হবে।
দুটি দেশ এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিসম্পন্ন করেছে। এর আগে গত ফেব্র“য়ারি মাসে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামীকাল এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর রোসাটম এবং বাংলাদেশের পারমাণবিক শক্তি কমিশন এই চুক্তির অধীনে ব্যয় নির্ধারণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কাজ করবে। দুটি দেশই প্রস্তাবিত এই চুক্তির বিভিন্ন কারিগরি দিক চূড়ান্ত করেছে।
আন্তর্জাতিক এটোমেকি এনার্জি এসোসিয়েশন ২০০৭ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার অনুমতি দিয়েছে। এ সময় উন্নয়নশীল আরো ৭টি দেশও এই অনুমতি পায়। রাশিয়া, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও পাকিস্তান অবকাঠামো উন্নয়নে তাদের সহায়তা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কর্মকর্তারা এর আগে জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনে অধিকাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে। বাকী খরচ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আমরা আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাবার পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে প্রকল্পের দরদাতাদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।