খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলায় ডাকা পরিবহন ধর্মঘট সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের ফলে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সিলেটের সঙ্গে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ, যানজট নিরসন, যাত্রী ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ শনিবার এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সোমববার সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সমপ্রতি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাপক অনিয়ম নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সমাধান না হওয়ায় গত শনিবার দুপুরে যশোরে আন্তঃজেলা বাস সিন্ডিকেট কার্যালয়ে মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ৬ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকেই ধর্মঘটের ঘোষণা দেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বঙ দুদু মিয়া।

নেতারা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তা আদায় না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তবে পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ চলাচল করতে চাইলে তাদের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পরিবর্তে যমুনা সেতু ব্যবহার করতে হবে।

অন্যদিকে, ধর্মঘটের ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে যশোরে এসে আটকে পড়েছেন তারা। অনেকে বিকল্প পথে ঢাকা যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

বেনাপোল বন্দরও অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বন্দরে আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত থাকলেও পণ্য ঢাকায় পাঠানো যাচ্ছে না। এতে বন্দরে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেনাপোলে আটকা পড়েছেন ভারত ফেরত যাত্রীরাও। তারা বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।