প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার কেন সেনা দেয়নি, তা আমরা জানি না।  নির্বাচন শেষে আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করব। সাংবিধানিকভাবে তারা দিতে বাধ্য। তাদের উচিত ছিলো আমাদের সঙ্গে কথা বলা।

গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনপরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। সেনাবাহিনী ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। তাদের কোনো দুর্বলতা থাকলে তা দূর করা উচিত। এক প্রতিষ্ঠানের ওপর অন্য প্রতিষ্ঠানকে চাপিয়ে দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া কথায় কথায় সেনাবাহিনী চাওয়া উচিত নয়। এতে সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে নানা আশঙ্কার সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও জনগণ চাইলে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। সেনাবাহিনী নিয়োগ না করাকে কমিশনের ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করে বিরোধী দল কর্তৃক কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, পদত্যাগ করে চলে যাওয়াটা চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় হত। কেননা নারায়ণগঞ্জবাসী নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। তবে পদত্যাগ করলে কারও কারও ইস্যু সৃষ্টির সুবিধা হত। তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় সিইসি বলেন, এরফলে আইনগতভাবে কোনো সমস্যা নেই। তবে তার নির্বাচন বর্জনের কারণে যদি ভোটার উপস্থিতি ১০ শতাংশে দাঁড়াত তবে হয়তো আমরা নির্বাচন বাতিল করতাম।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নানা দিক দিয়ে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এবারই প্রথম কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীতে ওয়েবক্যামেরার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি ভিডিও ক্যামেরা সার্বক্ষণিক নির্বাচন পরিস্থিতি ভিডিও করেছে। নয়টি ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রযুক্তি আরও এগিয়ে নেওয়া উচিত।