দেশে আরো বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৭ থেকে ৮ মাত্রায় এ ভূমিকম্প তীব্রতা হবে ভয়াবহ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোববারের ভূমিকম্প বলে দেয় বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা এখন অনেক বেশি। গত অর্ধশতক ধরে এমন ভূমিকম্প হয়নি। গত একশ বছরের বেশি সময়ে বড় মাত্রার কোনো ভূমিকম্প না হওয়াকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে প্লেট বাউন্ডারি অথবা চ্যুতি বরাবর প্রচুর শক্তি সঞ্চয়ের সম্ভাবনা রয়ে গেছে। এ অবস্থায় এই শক্তি যখন ভূস্তর ধরে রাখার ক্ষমতা হারাবে, তখন ভূস্তরের বিচ্যুতির ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে যে চারটির উৎত্তিস্থল দেশের অভ্যন্তরে (ময়মনসিংহের ফুলপুর, চাঁদপুর এলাকায়) সেগুলো আরো বেশি বিপজ্জনক। বিশেষ করে চাঁদপুর এলাকার পরিস্থিতি বেশি নাজুক। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের খুব কাছে ডাউকি ফল এবং ইউরেশিয়া-ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলের অবস্থান হওয়ায় এ অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ।রাজধানীতে রাতের বেলায় সাত থেকে সাড়ে সাত তীব্রতার ভূমিকম্প হলে ৯০ হাজার লোক হতাহত হবে। দিনের বেলায় হলে হতাহতের সংখ্যা হবে ৭০ হাজার।

এ বিষয়ে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক জানান, ভূমিকম্প-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য সারাদেশে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় তারা কতদিন স্বচ্ছাসেবক হিসেবে উৎসাহী থাকবেন সেটা নিয়ে সন্দিহান মন্ত্রী।
গত রোববার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ সারাদেশ। প্রায় ২ মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের সিকিম থেকে ৬৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ঢাকা থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দূরে।