টিকিটের জন্য রাতভর অপেক্ষার পর ঈদে ঘরমুখি মানুষ টিকিট পেতে শুরু করেছেন। সোমবার সকাল ৯টায় ১৫ আগস্টের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে টিকিট বিক্রি।

১৫ আগস্টের টিকিট নেওয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যা থেকেই ঘরে ফেরা যাত্রীরা জড়ো হয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে।

কেউ বসে, কেউ ঘুমিয়ে কোনোরকম রাত পার করেছেন। অনেকেই সঙ্গে করে সেহেরির জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও শুয়ে-বসে রাত কাটিয়েছেন রেলস্টেশন চত্বরে। কিন্তু সোমবার টিকিট পাবেন কি-না এ নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় থাকলেও টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। সবার প্রত্যাশা এতো কষ্টের পরেও কাঙ্ক্ষিত টিকিটটি যেন পাওয়া যায়।

এদিকে, রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের বলেছেন, “যাত্রীদের দুভোর্গ কমাতে আমরা সকাল ৭টা থেকে টিকিট বিক্রির চিন্তাভাবনা করছি। সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ৭টা থেকে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারলে টিকেট নিতে আসা মানুষের দুভোর্গ কমানো যাবে।”

অন্যদিকে, রোববার যারা ১৪ আগস্টের জন্য টিকেট নিতে এসেছিল তারা অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন। অনেকেই আবার টিকেট কালো বাজারির অভিযোগ করেছেন।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানাজার খায়রুল বশীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চাহিদার তুলনায় আসন কম। সিরিয়ালে যারা দাঁড়িয়েছেন সবাই হয়তো টিকিট পাবেন তবে আসন সবাই পাবেন না। পাওয়া সম্ভবও নয়।”

তিনি জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৬ আগস্ট, ১৬ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৭ আগস্ট, ১৭ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৮ আগস্ট এবং ১৮ আগস্ট যাত্রার টিকিট ৯ আগস্ট বিক্রি করা হবে।

এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা না গেলে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর থেকে ১৯ আগস্টের টিকিট স্টেশন কাউন্টারে পাওয়া যাবে।

রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিক্রিত অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। এছাড়া অগ্রিম টিকিটের পাশাপাশি চলতি টিকিট বিক্রিরও ব্যবস্থা থাকবে এ সময়।