ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে মহাসড়কগুলোতে সৃষ্ট যানজটে। ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় কাটাতে কাটাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান অচল হয়ে এসব যানজটের সূত্রপাত। শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধের ফলেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালের খবর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরের ভিত্তিতে মহাসড়কে যানজটের চিত্র তুলে ধরা হলো-
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ শুক্রবার সকালে মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এজি (তানিয়া) টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকেরা বেতন-ভাতার দাবিতে এ মহাসড়ক অবরোধ করলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত নয়টার দিকে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নিলেও মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজট বাড়তে থাকে।
রাত দুইটার দিকে মহাসড়কের দেওহাটা এলাকায় বালুবোঝাই একটি ট্রাক বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে যানজট যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। রাত তিনটার দিকে ট্রাকটি সরিয়ে নিলে যানবাহন চলতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমতে শুরু করে। বর্তমানে মহাড়কের কালিয়াকৈর থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট অব্যাহত আছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চান্দিনার কুতুম্বপুর থেকে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া পর্যন্ত যানজটে অচল হয়ে আছে।
দাউদকান্দির শহীদনগরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে চট্টগ্রামগামী একটি লরির ইঞ্জিন মহাসড়কের ওপর আড়াআড়ি অবস্থায়ে বন্ধ হয়ে গেলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে রেকার দিয়ে লরিটি অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে, এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।