শনিবার দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের হোসেনপুর বাজারে এক জনসভায় সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা আমার বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আমি নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক।
গত ৯ এপ্রিল রাতে ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুকের গাড়িতে বিপুল অর্থ পাওয়ার খবর প্রকাশের পর তা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল অর্থ কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুরঞ্জিত।
ঘটনার পর থেকে ফারুকের গাড়ি চালক আজম খানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশন ও রেল কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তলব করলেও তিনি হাজির হননি।
প্রায় ছয় মাস নিখোঁজ থাকার পর আরটিভির প্রতিবেদনে হাজির হন আজম। ওই প্রতিবেদনে আজম দাবি করেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাবেক এপিএস ওমর ফারুক পিলখানায় যে অর্থসহ আটক হয়েছিলেন তার উৎস ছিল রেলের ‘নিয়োগ বাণিজ্য’। ওই টাকা সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছানোর সময়ই ফারুক আটক হন।
আজমের এই অভিযোগকে মিডিয়ার বিরূপ আচরণ বলে আখ্যায়িত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সারা জীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছি। মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণ করছে। ড্রাইভার আজম খানকে আমি কোনদিন দেখিনি। বাংলাদেশের সকল তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। ভবিষ্যতেও নির্দোষ প্রমাণিত হব।
১০ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানান দপ্তরবিহীন এই মন্ত্রী।