মন্ত্রিপরিষদে রদবদল নিয়ে দীর্ঘদিনের গুঞ্জনের অবসান ঘটাতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র ৩ থেকে ৫ নেতা। এর মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও ওবায়দুল কাদের এর বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছেন দলীয় প্রধান। আরো ৩ থেকে ৫ জন হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া দপ্তরবদল হতে পারে কমপক্ষে চারটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের।

তবে মন্ত্রিপরিষদের কোন সদস্যদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী শুক্রবার এ নিয়োগ ও রদবদল চূড়ান্ত হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র আইনএনবিকে জানিয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও দিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের। জানা গেছে, আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার শফিক আহমেদকে দপ্তরবিহীন করা হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিবেন আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আর ওয়ায়দুল কাদেরকে দেয়া হতে পারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্ব। যেসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের দপ্তর বদল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন, যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ।
ইতিমধ্যে মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের কর্মকা- জনগণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সরকারের জনপ্রিয়তাও ক্রমে কমছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রিপরিষদে রদবদল ও নতুন সদস্য নিয়োগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। সরকারের তিন বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে আগামী দিনগুলোতে সরকারের ভাবমূর্তি আরো সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী এ উদ্যোগ নিচ্ছেন। একাধিক প্রতিমন্ত্রীর পদোন্নতি পেতে মন্ত্রী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে বেশ জোরেশোরে। নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বিতর্কিত হয়েছেন। তাই জানা গেছে, তাদের দপ্তর বদল করে শেষ সুযোগ দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।  
এছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ও সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের অন্দর মহলে।