জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার প্রায় ৪৫০টি ইউক্যালিপটাসগাছ কেটে ২৯ প্রজাতির পরিবেশবান্ধব ও দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ সচিবালয়। নতুন লাগানো গাছ সঠিকভাবে পরিচর্যা হচ্ছে কি না, তা তদারকির জন্য মনিটরিং দল গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংসদ ভবনের আইপিডি সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল বুধবার সংসদ সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিমিয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মতবিনিময় সভায় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সৈয়দ আহম্মদ, বন অধিদপ্তর, আরবারিকালচার বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উবিনীগের প্রতিনিধিরা এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন করে যে ২৯ প্রজাতির গাছ লাগানো হবে সেগুলো হলো নিম, আমলকি, অর্জুন, অশোক, বহেরা, বৈলাম, বট, চাম্পা, দেবদারু, গর্জন, হরীতকী, জাকারেন্ড্রা, জারুল, কদম, কাঞ্চন, কাঠবাদাম, কুসুম, মেহগনি, মৈলাম, মহুয়া, নাগেশ্বর, পাদাউক, পীতরাজ, পলাশ, শাল, শিমুল, শিরীষ, সোনালু ও তেলসুর।
সভায় জানানো হয়, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক ইউক্যালিপটাসগাছ কেটে ফেলার আগে চলতি বৃক্ষরোপণ মৌসুমেই পরিবেশবান্ধব গাছ লাগানো হবে।

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনের পামগাছগুলো কেটে সেখানে অন্য গাছ, বিশেষ করে নিমগাছ রোপণ করার জন্য আরবারিকালচার বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংসদ ভবন এলাকায় পাখির জন্য একটি অভয়ারণ্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় উদ্ভিদের একটি বাগান তৈরিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। সভায় সংসদ ভবনের লেকে শাপলা-শালুক ও আমাজন লিলির মতো জলজ উদ্ভিদের বিস্তার ঘটানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

সভায় ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহফুজুর রহমান বলেন, সংসদ ভবনের মূল সৌন্দর্য ঠিক রেখে এ এলাকায় দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানোর যে উদ্যোগ সংসদ সচিবালয় নিয়েছে, পরে তা প্রচারণার মাধ্যমে আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।