বিএনপি-জামায়াতের হরতালকে কেন্দ্র করে রাজপথ আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একদিকে যে কোনো মূল্যে হরতাল সফল করতে বদ্ধ পরিকর বিরোধী দল। অন্যদিকে রাজপথে হরতাল মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। পিকেটারদের ধরে ধরে পুলিশে সোপর্দ করারও ঘোষণা দিয়েছে তারা। একই সাথে জলকামান, রাবারবুলেট আর টিয়ারশেল নিয়ে রাজপথে থাকার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-ৱ্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ঘোষণা দিয়েছেন হরতালের মাঠে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও পুলিশ ধরপাকড়ও শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
সব মিলিয়ে গত মঙ্গলবার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা আজকের হরতালকে ঘিরে এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজপথ। হরতালের আগের সন্ধ্যা বুধবার থেকে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে ওঠে। গত সোমবার পুলিশের সাথে জামায়াত সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর আজকের হরতালে আরও সহিংসতার আশঙ্কাও করছে তারা। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা এ হরতাল প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা জনগণের স্বার্থে হরতাল দিয়েছেন। তাই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হরতাল সফল করবেন। হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই হরতালকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার শুরু করে দিয়েছে। পুলিশ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনারসহ মহানগর বিএনপির নেতাদের বাসায় গিয়ে হানা দিচ্ছে। হরতাল প্রতিরোধের ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনস্বার্থে প্রতিবাদ জানানো গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ পরমত সহিষ্ণু নয় বলে এ ঘোষণা দিয়েছে। আসলে সরকারের পায়ের নিচ থেকে মটি সরে গেছে। তাই তারা এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালকে জনবিরোধী উল্লেখ করে রাজপথে তা মোকাবেলা করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। এ ব্যাপারে সরকারি দলের এক নেতা জানান, বিএনপি অরাজকতা সৃষ্টি ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই হরতাল দিয়েছে। তাদের হরতালে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। তাই রাজপথেই তাদের হরতাল মোকাবেলা করা হবে।