সুন্দরবনে আবার বাঘশুমারি শুরু হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাঘ গণনার কাজ শুরু হয় এবং চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময় খুলনার শরণখোলা, চাঁদপাই ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে গণনার কাজ চলবে। মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি সার্ভে টিম এ কাজ করছে।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া, তীব্র লবণাক্ত পানি পান, খাদ্য অনুসন্ধানে লোকালয়ে
এসে গণরোষে পড়ে মৃত্যু ইত্যাদি কারণে সুন্দরবনে গত ২০ বছরে কমপক্ষে ৯৭টি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী একযুগে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সচেতন মহল। তিনযুগ আগে টাইগার প্রজেক্ট নামে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তা এখনো ফাইলবন্দি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫০টি। পরে ১৯৯৩ সালের অপর এক সমীক্ষায় এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় আনুমানিক ৩৫০টিতে। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে সবশেষ দুই দফায় বাঘ গণনা করা হয়।