পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর কথা থাকলেও আবুল হোসেন দুদকে পৌঁছান সাড়ে ৯টার দিকে। পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য এর আগেও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে। তবে দুদক পরে জানায়, ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। অবশ্য পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত থাকে।

মূলত এ দুটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগেই গত বছর পদ্মা সেতুতে অর্থায়ণের চুক্তি স্থগিত করে বিশ্ব ব্যাংক, ২৯০ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে যাদের ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন ঝুলে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আবুল হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে। তবে বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত ছিল, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার মন্ত্রী পদে থাকা চলবে না। সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় চলতি বছর চুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক।

এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংককে ফেরানোর উদ্যোগের মধ্যেই গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবুল হোসেন। এর ঠিক এক মাস পর তা গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত মেনে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও ছুটিতে পাঠানো হয়।

পদ্মা প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূরে আলম চৌধুরীর ভাই নিক্সন চৌধুরী, সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, পরামর্শক নিয়োগের সংক্ষিপ্ত তালিকার শীর্ষে থাকা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াউল হকসহ প্রঅয় দুই ডজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তারা গত জুনেই জানিয়েছিলেন, পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আবুল হোসেনকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।