দুপুর আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে হুমায়ূন আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিয়ে আসা হয়। হুমায়ূন আহমেদের জানাজায় অংশ নেন বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
পরে তার মরদেহ বারডেমের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে দাফনের স্থান নির্ধারণ করতে সন্ধ্যায় পরিবার বৈঠক করে এটি ঠিক করবে।
রাজনৈতিক মাঠে বিরোধী অবস্থান থাকলেও এখন একই কাতারে পাশাপাশি দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে। একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে অপেক্ষা করেনও তারা।
বাংলানিউজকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ট সন্তানদের একজন। তাঁর মৃত্যুতে সারাদেশ আজ শোকে ম্তব্ধ। এই মহান সন্তানের সৃষ্টি সকলদল-মত রাজনীতির উর্দ্ধে।’’
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাতীয় ঈদগাহে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত হয়েছেন।
সোমবার ৮টা ৫৫ মিনিটে কফিনবন্দী হয়ে দেশের মাটিতে ফেরেন হুমায়ূন আহমেদ। সেখান থেকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনার যেনো আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো। সেখানে সকাল থেকেই হাজারো মানুষ। কান্নাভেজা চোখ, মলিন মুখ। শোকের ভাষাই য়েনো ফুটে উঠেছে।
শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব শুরু হয় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে। রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মাহবুবু হক শাকিল ও সাইফুজজামান শেখর ও আওয়ামী লীগের পক্ষে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে মানুষের হাতে হাতে ফুল। সবাই যেনো ফুলে ফুলে ছেয়ে দিতে চান প্রিয় লেখকের কফিন।
শহীদ মিনারে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহের পাশে রয়েছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, হুমায়ূন আহমদের ছেলে নুহাশ, মেয়ে শীলা ও নোভা, স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ভাই ড. জাফর ইকবাল, আহসান হাবীবসহ ঘনিষ্টজনেরা। ক্ষণে ক্ষণে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন নুহাশ, শিলারা।