রাবি প্রতিনিধিসর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন রিজভী আহমেদ। আর সাধারণ সম্পাদক পদে রুহুল কুদ্দুস নির্বাচিত হন। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ২৩ বছর, নির্বাচনের মুখ দেখেনি রাকসু। অথচ নিয়মানুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৬ বার রাকসুর নির্বাচন হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো রাকসুর নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি এবং অধিকার আদায়, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি ও গণতন্ত্রের চর্চার জন্য রাকসু নির্বাচন খুবই জরুরী। শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ভর্তির সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিলেও এর থেকে কোন সুফল পাচ্ছে না তারা।
১৯৯০ সালের ২২ জুন ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, জাসদ এবং শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এক শিবির নেতা নিহত হবার জেরে প্রশাসন রাকসুর কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। এরপর ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন নির্বাচনের আয়োজন করলেও বিভিন্ন জটিলতায় তাও স্থগিত হয়ে যায়। এরপর জোট সরকারের সময় প্রশাসন এ ব্যাপারে একেবারে নীরব ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে রাকসুর কমিটিতে কোন শিক্ষার্থী নেই। উপাচার্য বিশেষ ক্ষমতায় একজন শিক্ষককে ট্রেজারার নিয়োগ করে এর কার্যক্রম জিইয়ে রেখেছেন। রাকসুর ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল লতিফ জানান ২০১০ সাল পর্যন্ত রাকসুর ফান্ডে প্রায় দুই কোটি টাকা জমা হয়েছে। প্রতিবছর এই ফান্ড বাড়লেও কতিপয় কর্মচারী আর খেলাধুলার জন্য সামান্য কিছু টাকা ব্যয় করা হয়, বাকী টাকা পড়ে আছে অলস অর্থ হিসেবে। আর রাকসুর জন্য নির্ধারিত ভবনটি এখন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ব্যবহার করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্রের চর্চা, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে রাকসু নির্বাচন সময়ের দাবি। কিন্তু এই যখন অবস্থা তখন রাকসুর নির্বাচন করা আদৌ সম্ভব হবে কী?