ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে আর মোবাইল সিম চালু করতে পারবে না অপারেটরগুলো। আগামী অক্টোবরে এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। বর্তমানে অপারেটররা প্রি-অ্যাকটিভ সিম বিক্রি করে থাকে, যা কেনার পর পরই চালু করা সম্ভব।

বুধবার সন্ধ্যায় বিটিআরসি কার্যালয়ে গ্রাহক নিবন্ধন নির্দেশাবলী সংক্রান্ত সভায় এ ধরনের প্রি-অ্যাকটিভ সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ।

তিনি বলেন, “অপারেটরদের তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পদ্ধতিগত উন্নয়ন করার জন্য বলা হয়েছে। ১১ অক্টোবরের পর গ্রাহকের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে সিম চালু (অ্যাকটিভ)করলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

২০১০ সালের গ্রাহক নিবন্ধন নির্দেশনা অনুযায়ী, সিম বিক্রির ক্ষেত্রে শনাক্তকারীর মোবাইল ফোন নম্বর যাচায়ের পাশাপাশি ক্রেতার নিবন্ধন ফরমে দেওয়া তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করবে মোবাইল অপারেটরা।

তবে বেশিরভাগ অপারেটর নিবন্ধন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করছে না জানিয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিবন্ধিত সিম বিক্রির দায় অপারেটররা রিটেইলাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। কিন্তু এখন গ্রাহকের সঠিক পরিচয় যাচাই না করে সিম চালু করলে সেই দায় অপারেটরদের নিতে হবে।”

টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী অপারেটররা কোনো আইন ভাঙলে তাদের ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। সিম বিক্রির পর গ্রাহকদের যাচাই করার জন্য তাদের ছবি উঠিয়ে বা স্ক্যান করে রাখার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিটিআরসি প্রধান।

সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “সম্প্রতি বিটিআরসির অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধের অভিযানে কয়েকটি অপারেটরের অনিবন্ধিত সিম উদ্ধার করা হয়। অবৈধ ভিওআইপি’র বেশিরভাগ কল অনিবন্ধিত সিম দিয়ে করা হচ্ছে।” এ ধরনের জালিয়াতি রোধে কমিশন এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিটিআরসি’র হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি।