লিবীয় বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে ন্যাটোর কার্যক্রমও অব্যাহত রাখবে দেশটি।লিবিয়ার পলাতক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে ব্রিটেন।  লিবিয়া সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা আপনাদের সহায়তা করব। একই সঙ্গে তিনি গাদ্দাফি ও তার সমর্থকদের প্রতি অস্ত্র ত্যাগ করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। ব্রিটেনের জব্দ করা গাদ্দাফি সরকারের ১২০০ কোটি পাউন্ড সম্পদ লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের অনুকূলে ছাড় করারও ঘোষণা দিয়েছেন ক্যামেরন। তিনি জানান, আজ শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া উত্থাপন করবে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। সেখানে এটি অনুমোদন পেলেই ওই সম্পদ ছাড় করবে ব্রিটেন। এছাড়া এনটিসিকে নিরাপত্তা বিষয়ে সহায়তা দিতে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর একটি টিম লিবিয়ায় মোতায়েন, বিশেষায়িত ৫০টি ব্রিটিশ হাসপাতাল স্থাপন, মাইন অপসারণের জন্য ছয় লাখ পাউন্ড এবং পুলিশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ৬০ হাজার পাউন্ড অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের।লিবিয়ার অন্তর্বর্র্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রিপোলি পেঁৗছেন।

বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে দুই নেতাকে স্বাগত জানান জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের দ্বিতীয় প্রধান মাহমুদ জিবরিল। তাদের আগমন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিসি। বিমানবন্দরে নেমে একটি অবাধ, সুন্দর, গণতান্ত্রিক লিবিয়া গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন ক্যামেরন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেইন জুপে এ সময় নিজ নিজ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন। ক্যামেরন ও সারকোজি ত্রিপোলির একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এনটিসি প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল এবং গাদ্দাফিবিরোধী অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। ত্রিপোলির পর দুই নেতা এনটিসির শক্তিশালী ঘাঁটি বেনগাজি যাবেন এবং সেখানে ‘স্বাধীনতা চত্বরে’ ভাষণ দেবেন।