দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রবিউল আলম (৩০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তার নাম মিজানুর রহমান (৩২)। নিহত রবিউল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাড়ুয়া গ্রামের মনু ভূঁইয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মিজানুর একই গ্রামের গফুর আলী শেখের ছেলে। দুই বন্ধু মিজান ও রবিউল সেখানে যৌথভাবে ব্যবসা করতো।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৩টার দিকে একদল সন্ত্রাসী রবিউল ও মিজানের কসমেটিঙের দোকানে ঢুকেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। একটি গুলি রবিউলের মাথায় লাগলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মিজানের হাতে গুলি লাগলে গুরুতর অবস্থায় তাকে কেপডউনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত রবিউলের বড় ভাই জয়দুল হোসেন (৩৪) জানান, শুক্রবার সকালে শিপন নামে তাদের পরিচিত বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোন করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রবিউলের মৃত্যুর সংবাদটি জানায়।

রবিউলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর রবিউলের গ্রামের বাড়িতে তৈরি হয় হৃদয়বিদারক পরিবেশের। বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান ও ভাই বোনের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। নিহতের স্বজনরা এখন প্রিয়জনের লাশের অপেক্ষায় আছেন।

এদিকে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত মিজানের বাড়িতে স্বজনরা রয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করছে।

নিহতের ভাই জয়দুল আরো জানান, গ্রামের এক প্রতিবেশির মাধ্যমে দেড় বছর আগে রবিউল এবং মিজান দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। সেখানে দু’জনে মিলে যৌথ মালিকানায় কসমেটিঙ ব্যবসা শুরু করেন। ৬ বছর আগে বিয়ে করা নিহত রবিউলের ‘আইয়েবা’ নামে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।