বৃহস্পতিবার তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বারাক ওবামা বলেছেন, জঙ্গিবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের ফলে জঙ্গিরা উৎসাহিত হবে। ফলে পাকিস্তানকে সমর্থন করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। দু’দেশের সম্পর্কও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বিষয়ে ওবামা বলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি পাকিস্তান মানবে কি-না তার ওপর দুই দেশের সম্পর্ক নির্ভর করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা যাতে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে না পারে এবং সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাতে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে এটা নিশ্চিত করাই তার প্রধান উদ্দেশ্য।ওবামা আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সুসম্পর্কের বিষয়টি পাকিস্তান সুনজরে দেখছে না। তারা মনে করছে, এর ফলে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। এর কারণ হিসেবে ওবামা বলেন, পাকিস্তান মানসিকভাবে এখনও ভারতকে তাদের শত্রু মনে করে। আমরা চাই, পাকিস্তান বুঝুক সবার স্বার্থের জন্যই ভারতের সঙ্গে তাদের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে ওবামা পাকিস্তানের কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দরিদ্রতা, অশিক্ষা, উন্নয়নের অভাব পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এমনকি জনপ্রশাসনও দেশটির জনগণকে যথেষ্ট সেবা দিতে পারছে না। তাই এ সুযোগে দেশটিতে জঙ্গি সংখ্যা বাড়ছে। ফলে আফগানিস্তানে আমাদের জঙ্গি দমন প্রচেষ্টাই ব্যাহত হচ্ছে না, সেই সঙ্গে এটি পাকিস্তানের জনগণের জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। ওবামা বলেন, সমস্যা

মোকাবেলায় পাকিস্তানকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে আমেরিকা ও তার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় পাকিস্তান সহায়তা করছে কি-না, তার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে থাকা সম্পর্ক মূল্যায়ন করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান বেশ কিছু বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের সহায়তা ছাড়া এ অঞ্চলে আল কায়দার বিরুদ্ধে সফলতা অর্জন সম্ভব হতো না।
এর আগে মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেন জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছিলেন। জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর ‘গুরুত্বপূর্ণ হাত’ বলে মন্তব্য করে মুলেন। পাকিস্তান অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।