লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা গাদ্দাফির জন্মশহর সিরতেতে তার অনুগত সেনাদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার অন্তর্বর্র্তী পরিষদ। এনটিসি যোদ্ধারা সিরতের পুলিশ সদর দফতরও দখলে নিয়েছে।

এদিকে মরুশহর বনি ওয়ালিদে এখনও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে গাদ্দাফিপন্থিরা। তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে এনটিসি বাহিনীকে।

এনটিসির পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর একটি ইউনিটের কমান্ডার আবদুস সালাম জাভাল্লাহ জানান, সাগরের কাছে দুটি আবাসিক এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে গাদ্দাফি অনুগতদের অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। তবে তারা এখনও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দুটি আবাসিক এলাকায় অনেক বেসামরিক লোক বাস করায় লড়াইয়ে এনটিসির সেনারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানান জাভাল্লাহ। সিরতে ছেড়ে পালানোর সময় উম্মে ইসমাইল নামে এক নারী জানান, অবরুদ্ধ শহরটির সব বাসিন্দাই কমবেশি আহত হচ্ছে। শহরে পানি, বিদ্যুৎ কিছুই নেই। এর মধ্যে দিনরাত শহরবাসীর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি জানান, তার প্রতিবেশীদের মধ্যে এমন মানুষ কমই আছে যে আঘাত পায়নি।

হালকা অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে এনটিসির যোদ্ধারা জানালেও অন্তর্বর্র্তী সরকারের ট্যাংকবহর শহরের দখলকৃত রাস্তাগুলোতে টহল দিচ্ছে। গাদ্দাফি অনুগতদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাও বর্ষণ করছে তারা। শহরের বিভিন্ন স্থানে পিকআপের ওপর ভারী অস্ত্র সাজিয়ে এনটিসির যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ছত্রছায়ায় পদাতিক বাহিনী গাদ্দাফি অনুগতদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। সিরতেতে হামলায় অংশগ্রহণকারী এনটিসির যোদ্ধারা মূলত আশপাশের শহরগুলো থেকে এসে জড়ো হয়েছে। কিন্তু ত্রিপোলি দখলের সময় এনটিসি বাহিনীকে শহরবাসী যে রকম সমর্থন দিয়েছিল এখানে তা অনুপস্থিত। লড়াইয়ে ব্যাপক হারে বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ায় স্থায়ী শত্রুতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের কিছু হলে যুদ্ধ শেষে উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অন্তর্বর্র্তী সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।