সারা বিশ্বে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের নতুন এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১১ সালে দেশটি অস্ত্র বিক্রি থেকে আয় করেছে ৬ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। এসব অস্ত্রের প্রায় অর্ধেকটাই কিনেছে সৌদি আরব। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনেছে দেশটির কাছ থেকে। ধারণা করা হচ্ছে ইরানের হুমকি মোকাবেলায় এসব আরব দেশ এত বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্ত্র ক্রয় করে। নিউইয়র্ক টাইমস ও আলজাজিরা। এ হিসাবের মাধ্যমে দেশটির কৃষি ও অন্যান্য খাতে আয়ের চেয়ে অস্ত্র খাতে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।


২০১০ সালে আমেরিকা অস্ত্র বিক্রি করেছিল ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের। এর আগে ২০০৯ সালে দেশটি রেকর্ড ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করে। কিন্তু ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৬ হাজার ৬৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করে। গত বছর মার্কিন অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা ছিল সৌদি আরব। দেশটি গত বছর আমেরিকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে। এর মধ্যে কয়েক ডজন এফ-১৫ জঙ্গি বিমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানও বিপুল অর্থের অস্ত্র কিনেছে। শুধু সৌদি আরবের কাছে বিক্রি করা অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটির এ রিপোর্টে বলা হয়, ২০১১ সালে সারা বিশ্বে যে অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার শতকরা ৭৮ ভাগ একা যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল। রাশিয়া বিক্রি করেছে মাত্র ৪৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র।


সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা চাপ এবং ইরানভীতি সৃষ্টি করে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে।