বিশ্ব ব্যাংক ‘অবস্থা বুঝে’ পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ‘ফিরে আসবে’ বলেই মনে করেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সব দাতা গোষ্ঠীর সাহায্য দরকার। এডিবি, আইডিবি ও জাইকাকে সঙ্গে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করা হবে।”

“আমরা সকলের সঙ্গে সখ্য রাখতে চাই। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও অবস্থা বুঝে আমাদের কাছে আসবে,” যোগ করেন তিনি। অবশ্য বিশ্ব ব্যাংক চুক্তি বাতিল করায় দেশের মানুষের জন্য তা ‘শাপেবর’ হয়েছে বলেও মনে করেন সুরঞ্জিত।

দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে দাবি করে গত ২৯ জুন ১২০ কোটি ডলারের এই ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। এরপর এডিবিও ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়।

চুক্তি বাতিল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, নিজস্ব অর্থায়নেই যতো দ্রুত সম্ভব পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সোমবার এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে একটি সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তাদের উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, “ভ্রান্তি বিলাসের পথ ত্যাগ করে দেশের মানুষের সহায়তায় ঐক্যের স্রোতের পক্ষে অবস্থান নিন।

পদ্মা সেতু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চের মধ্যে বৈষম্য কমে যাবে দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, সেতু হলে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের সমৃদ্ধি হবে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগও বাড়বে।

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ব্যানারে এই আলোচনা সভার আয়োজন হলেও উপস্থিত কয়েকজন নিজেদের সংগঠনের ‘আসল’ নেতাকর্মী দাবি করে এতে আপত্তি জানান। পরে ডিজিটাল ব্যানারের অর্ধেক ছিঁড়ে ফেলে সভা শুরু হয়।

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ‘প্রকৃত’ সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম।” তিনি বলেন, “অন্যেরা আমাদের সংগঠনের নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আমরা আপত্তি জানিয়েছি। পরে তারা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে সভা করে।”

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা দাবি করে এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অরুণ সরকার রানা। অন্যদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আব্দুল মান্নান চৌধুরী এতে বক্তব্য দেন।