নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এককভাবে কোন প্রার্থীকেই সমর্থন দেয়া হচ্ছে না। সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ আভাস দেন।

 তিনি বলেন, কোন এক জনকে মনোনয়ন দিলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্যজন যদি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তবে দলের ভোট ভাগ হয়ে যাবে। দু’জনের দলাদলিতে বিরোধীদলের প্রার্থী সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দলীয় নমিনেশনের কিছু নেই। এজন্য আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কাউকে সমর্থন দিচ্ছে না।

গতকাল টেলিভিশনে হানিফের এ বক্তব্য প্রচারের পরেও নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে শামীম ওসমান বলেন, দলের একক প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার এখনও অনেক সময় রয়েছে। ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, জনপ্রিয়তার দিক থেকে ডা. আইভি অনেক এগিয়ে আছেন। উন্মুক্ত প্রার্থী দিয়ে দল নির্বাচন করলে আইভি জয়লাভ করবে এটা নিশ্চিত। আর এজন্যই দলীয় হাইকমান্ড মাঠের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু’জনের কাউকেই সমর্থন দিচ্ছে না। তবে আমার বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত ডা. আইভিই হবেন দলের সমর্থিত একমাত্র প্রার্থী। অন্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

 শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার কোন বিষয় নেই। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে মনোনয়ননের বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করে কোন দল যাতে কোন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন না দেয় সেজন্য হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।