আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে, তা নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতোই অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো নির্বাচনই এর ব্যতিক্রম হবে না। সরকার কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। মঙ্গলবার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ আজ সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ৬০ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কেনেন বলে দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব স্থানীয় ও উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম একটা উদাহরণও কেউ দিতে পারবে না যে সরকার এসব নির্বাচনে কারচুপি বা কোনো রকম প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতে বিশ্বাসী। টকশোওয়ালাদের কাছে কোনো জবাবদিহি নেই।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রার্থী ছিল না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। সরকার সে দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এক বাক্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া ওই নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে সব রকম আশঙ্কা দূর হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য এফবিআইয়ের সহযোগিতা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে চিঠি লিখেছিল। এ মামলাও হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। এফবিআইয়ের কর্মকর্তা তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাই তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। এটার সঙ্গে সরকার জড়িত নয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে, সরকার টাকা দিয়ে এফবিআই কর্মকর্তা নিয়ে এসেছে? এফবিআই কি কোনো ভাড়া খাটা সংগঠন? এটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরই বলা উচিত, তাদের কর্মকর্তা ভাড়া দেয় কি না?’
পদত্যাগের গুজব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘চিলে কান নিয়ে গেছে—এ রকম কোনো গুজবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না। একটা অখ্যাত, অদৃশ্যমান ওয়েবসাইটে কী লিখল, তা নিয়ে কথা বলা যায় না। জাতীয় দৈনিকের কেউ এ রকম খবর দিলে প্রতিক্রিয়া জানাতাম।’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃণাল কান্তি দাস, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।