এরআগে, উনি গত জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। এখন আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বাড়িয়েছেন। ১৫ মাস সময় বাড়িয়েছেন- এজন্য ধন্যবাদ। শনিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদার বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে বলেন হাসিনা। খালেদা জিয়ার সময় বেঁধে দেওয়াকে ‘সময় বাড়ানো’ বলে অভিহিতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্যে তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি কথা বলেন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যেহেতু সরকার উৎখাতের সময় বেঁধে দিয়েছেন তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা কিসের? আলোচনা চাইলে তা সংসদে হবে। সংসদেই এসে তাদের বক্তব্য থাকলে তারা বলতে পারবে। সংসদে তো আমরা তাদের মাইক বন্ধ করে দেই না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘চোর বাটপারদের সঙ্গে আলোচনায় বসবো কীভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কথাটি এভাবে বলিনি। আমি বলেছি আলোচনার বিষয় এলেই তার দুর্নীতিবাজ ছেলেদের মুক্তির কথা বলবেন। মামলা তুলে নেয়ার কথা বলবেন। তিনি তা চাইলে আমি ওনার সঙ্গে বসবো কীভাবে? তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণ ভোট না দিলে সেই ক্ষমতায় আমরা থাকতে চাই না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও মানিলন্ডারিংয়ে অভিযুক্তদের বাঁচানোর আন্দোলন জনগণ গ্রহণ করবে না। আমি বিরোধী দলকে বলব_ তারা যেন এ ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়। বিরোধী দলের ঘোষিত কর্মসূচি লংমার্চ শেষে ‘ফাইনাল খেলা’ হবে_ বিরোধীদলীয় নেতার এ বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ফাইনালের আগে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল তো হয়নি। খেলা এখন কোন পর্যায়ে আছে ওনাকে আমি সেটি আগে জিজ্ঞেস করি। আর খেলোয়াড় যারা তারা খেলেই যাবেন। যারা খেলতে চায় তারা খেলতে থাকুক। আমরা জনগণের কাজ করার জন্য ক্ষমতায় এসেছি। আমরা জনগণের কাজ করে যাব।
জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগ নেতারা ওই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা করছি না। তবে যারা এ ধরনের কর্মকা- করেছে তাদের অবশ্যই বিচার হবে। তিনি বলেন, তারা এ ধরনের কর্মকা- সব সময়ই করে আসছে। নিউইয়র্কে বসে আমি সেদিনের ঘটনা দেখেছি। তিনি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশোর সমালোচনা করে বলেন, টকশো মাঝেমধ্যে টক হয়ে যায়। রাজনীতিবিদরা সেই সমালোচনা সহ্য করতে পারেন; কিন্তু সাংবাদিকদের সমালোচনা করলে তারা কেন সহ্য করতে পারবেন না।