দীর্ঘদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর, এবার পাকাপাকিভাবে ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলিউডের ‘ধক্ ধক্ গার্ল’ বলে খ্যাত মাধুরী দীক্ষিত৷ সম্প্রতি টুইটার মারফত এ কথাই জানিয়েছেন মাধুরী৷

 মাধুরী দীক্ষিত – ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে যিনি হিন্দি সিনেমার জগতে নিজেকে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন৷ পুরো ইনডাস্ট্রি কাঁপিয়ে রেখেছিলেন ভারতের প্রখ্যাত চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেনের এই ‘ড্রিম গার্ল’৷
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মাধুরীর৷ তবে ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবিটি, বিশেষ করে ছবির ‘এক দো তিন’ গানটি তাঁকে প্রথমবারের মতো খ্যাতির আসনে বসায়৷ একটার পর একটা সুপার-ডুপার হিট ছবি আমাদের উপহার দেন মাধুরী৷ ‘রাম-লক্ষ্মণ’ ‘পরিন্দা’, ‘ত্রিদেব’, ‘কিশন-কানহাইয়া’ এবং ‘প্রহর’ ছবিতে অভিনয় করেন অনিল কাপুরের বিপরীতে৷ ১৯৯০ সালে আমির খানের সাথে অভিনয় করেন ‘দিল’ ছবিতে৷ যা মাধুরীকে এনে দেয় তাঁর প্রথম ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার৷
এরপর আসে ‘সাজন’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রাজা’ এবং ‘অনজাম’৷ আবারো পর্দায় ফিরবেন কিনা তা জানা যায় নি‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে বৃহত্তম ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করে৷ যশ চোপড়া’র ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘দেবদাস’ মাধুরীকে শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি এনে দেয়৷ এভাবেই, হিন্দি সিনেমায় অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন মাধুরী দীক্ষিত৷
আজ থেকে ১২ বছর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকাবাসী কার্ডিওভাস্কুলার সার্জেন শ্রীরাম মাধব নেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মাধুরী৷ আর তার পরপরই অভিনয় ছেড়ে দিয়ে স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার’এ পাড়ি দেন মাধুরী৷ তাঁর নিজের কথায়, ‘‘সাংসারিক জীবনে ব্যস্ততার জন্যই আর সিনেমায় অভিনয় করা হয় নি৷” তাছাড়া, সে সময়টা সংসার করা, বাচ্চা মানুষ করা এবং একেবারে সাধারণ এক নারীর মতো জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন এই ‘বলিউড কুইন’৷ করেছিলেনও তাই৷